‘দায়িত্ব পালনে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত’—উপদেষ্টা পরিষদের হুঁশিয়ারি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হলে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। তবে সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার কার্যক্রম, বিচার প্রক্রিয়া ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হলে, দায়িত্ব পালনের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকলে সরকার জনসমর্থন নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির ইন্ধনে ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা হলে, সমস্ত কারণ জনসমক্ষে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা, নির্বাচন ও বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে, এবং পুনরায় স্বৈরাচারী শাসনের ঝুঁকি প্রতিরোধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শোনা হবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।

এই বিবৃতি আসে শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত বৈঠকে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্ব—নির্বাচন, বিচার এবং সংস্কার—বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের মতে, সরকারবিরোধী নানা অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ারবহির্ভূত বক্তব্য ও কর্মসূচি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। 

Post a Comment

Previous Post Next Post